শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১ টায় যুবদলের ভেরিফাই পেইজে দেয়া বহিষ্কারাদেশে জানানো হয়, দলীয় নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অমান্য করা এবং মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অস্থিরতা তৈরির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্ম বা ব্যক্তিগত কার্যকলাপের দায়-দায়িত্ব দল বহন করবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের এ সিদ্ধান্ত সোনারগাঁয়ের স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। প্রার্থী ঘোষণার পরও দলের প্রচার-প্রচারণায় বিরোধিতা করা এবং প্রকাশ্যে মশাল মিছিলে অংশ নেওয়ার ঘটনায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় যুবদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিছিল করে তিনি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার আচরণে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই সিদ্ধান্তে সবাই স্বস্তি পেয়েছে।”
সোনারগাঁ বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময়ে প্রার্থী-বিরোধী মিছিল করা দায়িত্বজ্ঞানহীনের কাজ। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত সঠিক ও সময়োপযোগী।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, শুনেছি আশরাফুল আলম বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেছে তাই বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার খোঁজ খবর নিচ্ছি৷ আমরাও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন