রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



আ'লীগের কার্যালয়সহ অবৈধ 'দেড় হাজার' স্থাপনা গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

 

সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের অংশে উপজেলা আ'লীগের প্রধান কার্যালয়সহ 'দেড় হাজার' অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় যানজট নিরসনে সওজ'র জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা উপজেলা আ'লীগের প্রধান কার্যালয়সহ 'দেড় হাজার' স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মহাসড়কের সোনারগাঁ অংশে মোগরাপাড়া এলাকার পূর্বপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলা আ'লীগের প্রধান কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব একাধিক আ'লীগ নেতা জানান, প্রায় ৩২ বছর আগে এখানে স্থানীয় জমির মালিক সামাদ ব্যাপারী থেকে জমি ক্রয় করে আ'লীগের কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রশাসনের লোক দিয়ে কোনো নোটিশ না দিয়েই অফিসটি ভেঙে দিয়েছে। এমন ঘৃণিত কাজের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷  

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনে কয়েকবারই মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করেন৷ কিন্তু প্রতিবারই কয়েক সপ্তাহ না যেতেই স্থানীয় কিছু দুষ্টু চক্র পুনরায় দখল করেন৷  কিন্তু এবার কোনো ক্রমেই দখল করা যাবেনা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনাতেই এবার সোনারগাঁয়ের ইতিহাসে এমন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যদি এর পর কোনো ব্যক্তি পূনরায় দখল করার পায়তারা করেন। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে  এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। 

আ'লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশের উর্ধে কেউ নয়।  অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে কে কি করেছে তা জানার প্রয়োজন নেই। জনগণের নিরাপদ চলাফেরা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য৷

দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানে আরও ছিলেন, ভূমি কমিশনার (সোনারগাঁ সার্কেল) মঞ্জুর মোর্শেদ, ভূমি কমিশনার (কাঁচপুর সার্কেল) সেগুপ্তা মেহনাজ, সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ কয়েক'শ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীবৃন্দ। 

0/আপনার মতামত জানান