গত শনিবার (২৪শে মে) ঢাকা বিভাগের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সেলিনা বানু'র সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেয়া হয়৷
অনুসন্ধান ও উপজেলা পরিষদের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আশরাফুল ইসলাম (রাজু)’র পিতা মো: হানিফ মিয়া। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের ঝাড়ুদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তারা আরও জানান, উপজেলা পরিষদের অর্গানোগ্রামে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ সৃষ্টি করে এবং তার নিয়োগের ক্ষমতা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অর্পণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সাট-মুদ্রাক্ষরিক নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে সময় তার পিতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে ঝাড়ুদার হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ম্যানেজ করে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে মো: আশরাফুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে নিয়ম বহি:র্ভূত ভাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তার দায়িত্বে নিয়ে নেন। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিল, উন্নয়ন তহবিল এবং প্লান পাস এর ফাইল তার হেফাজতে নিয়ে নেন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পূর্ব পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহযোগি হিসেবে গত ১০ (দশ) বছরে নামে বেনামে প্রায় ৬০০ পিআইসি প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় (২০০০০০×৬০০)= ১২,০০,০০,০০০ (বার কোটি) টাকা হাতিয়ে নেন তিনি । এমনকি তার নেয়া গায়েবী প্রকল্প যা কাগজে কলমে প্রকল্প ছিল এবং বিভিন্ন জনকে প্রকল্প সভাপতি দেখিয়ে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিতেন।
এছাড়াও বাড়ি করার ছাড়পত্রের ফাইলও তিনি করেছেন সীমাহীন অনিয়ম। প্রতিটি বাড়ি ও কোম্পানীর প্লানের (ছাড়পত্র) অনুমোদনের জন্য ১/২ লক্ষ টাকা করে নিতেন বলেও অভিযোগ করেন। এভাবেই তিনি সামান্য কম্পিউটার অপারেটর হয়েও নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে কয়েকটি বাড়ি এবং নামে বেনামে অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বদলীর খবর শুনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা মিষ্টি বিতরণ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক ব্যবস্থা নেওয়া দাবী উঠেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন