শুক্রবার(১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বৈধ ভাবে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে বায়নাসূত্রে জমির মালিক। আমি জমির মালিকের কাছ থেকে বায়না করেই সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। কে বা কাহারা আমার ও বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করিয়েছেন। যা আমার জন্য হয়রানিমূলক। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্পত্তির মালিক দাবীকৃত অভিযোকারী একাধিক বিয়ে করে সন্তানদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অপবাদে নির্যাতনের শিকার হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল বৃদ্ধ আব্দুর রহিম নিজ ভাইয়ের সম্পত্তিকে নিজের দাবি করে আবারো আলোচনায় আসেন।
বৃদ্ধ আব্দুর রহিমের ভাই মৃত সাহেব আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির বলেন, আমার জেঠা আব্দুর রহিম বৃদ্ধ মানুষ। ভুলে আমার বাবার সম্পত্তিতে নিজের মালিকানা দাবি করছে। মূলত আমরা ওয়ারিশসূত্রে এই জমির মালিক আর আমরাই বায়না দলিলের মাধ্যমে জমিটি আব্দুর রউফের নিকট বিক্রি করি।
নুরনবী নামের এক ব্যক্তি বলেন, যারা জায়গাটি বিক্রি করছেন তারা আমার চাচাতো ভাই। শুনেছি তারা ওয়ারিশ সুত্রে মালিক। তারাই আব্দুর রউফের নিকট বায়না নিয়েছে। আব্দুর রউফ অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি কোনো হুমকি কিংবা জোড় জবরদস্তি করে দখল করেননি। এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যদি কাগজপত্রে সমস্যা থাকে তাহলে বসেই সবকিছু সমাধান করা যায়। এটা নিউজ করার কোনো বিষয় না। হয়তো কোনো কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
অনুসন্ধান কালে অভিযোগকারীকে নিজ বাড়িতে পেয়ে কার ভয়ে পলাতক জিজ্ঞেস করলে বৃদ্ধ আব্দুর রহিম বলেন, 'আমি আমার বাড়িতেই আছি, কারো ভয়ে পলাতক না। গতকাল কয়েকজন লোক আমাকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছে আমি তাদের মতো করে কথা বলে আসছি। বায়না করে সাইনবোর্ড টানাইছে কিনা আমি জানি না'। তবে দীর্ঘদিন যাবত আমি স্থানীয় একজন ব্যক্তি থেকে জমিটি ক্রয় করে ভোগ করে আসছি। এখন পর্চার মধ্যে নাকি ঐ ব্যক্তির আরেক ভাইয়ের নাম আছে। সে বলে নাকি তারা মালিক হয়ে রউফ নামের ব্যক্তির কাছে বায়না নিয়ে ৮ শতাংশ বিক্রি করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন